Asthma (হাঁপানী)
![]() |
হাঁপানি রোগী |
যাদের বয়স ৪০-এর নীচে সম্ভবতঃ তাদের মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগেরই Asthma (হাঁপানী) হয় কোনো Allergy-র জন্য, চিকিৎসকরা এমনই মনে করেন। গাছপালা, আগাছা, ঘাসের রেণু (grass pollen), পশুর চামড়ার শুষ্ক ত্বক (Animal Dander) ধূলোর সঙ্গে থাকা পোকা এবং ছাতা – এইগুলি Allergy হওয়ার খুব বড় কারণ যাদের জন্য Asthma (হাঁপানী)ও হয়ে থাকে। ৪০ বছরের ওপরে যাঁরা তাঁদের উপরিউক্ত কারণগুলির জন্য হাঁপানী হয় শতকরা ৫০ ভাগের। বাকী ৫০ ভাগে হওয়ার কারণ হল ফুসফুসের কোনো না কোনো অসুস্থতার জন্য যেমন emphysema (ফুসফুসের মধ্যে যে ব্যাগ জাতীয় জিনিস থাকে যা ক্ষতিগ্রস্থ হলে বা কোনো কারণে কার্যকরী না হলে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট হয়)। তবে কারণ যাই হোক না কেন Asthma এবং বক্ষঃস্থলের সমস্যাগুলিকে আয়ত্তের মধ্যে রাখা যায়। Asthma এমন একটি অসুখ যাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য সাহারা মরুভূমিতে যাওয়ার দরকার পড়ে না, বাড়ীতে বসেই আপনি অনেক কিছু করতে পারবেন।
ধোঁয়া ভর্তি ঘর থেকে দূরে থাকুন ঃ
যাঁরা হাঁপানীতে (Asthma) ভুগছেন তাঁদের ধূমপান থেকে অবশ্যই বিরত থাকা উচিৎ; সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গেছে যে যাঁরা হাঁপানী সংক্রান্ত অসুখে ভুগছেন তাদেরও ধূমপান করা উচিৎ নয়। চিকিৎসকরা ধূমপান হাঁপানীর ওপর কতটা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে এই বিষয়ে পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখেছেন যে বদ্ধঘরে বিশেষতঃ শীতকালে যখন সাধারণতঃ ঘরের দরজা, জানালা সব বন্ধ রাখা হয়, ধূমপান অবশ্যই বর্জন করতে হবে। কেউ যদি গৃহে ধূমপান করেন তাহলে তার প্রভাব হাঁপানীর ক্ষেত্রে ভয়ংকর হতে পারে বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে।
শোবার সময় কোনো অম্লনাশক ওষুধ (Antacid) খেয়ে নিনঃ
পুরোপুরি পেট ভরে খাবার খেলে, তা আপনার Asthma কে বাড়িয়ে দিতে পারে। আপনার পাকস্থলীতে acid হলে তা আপনার কণ্ঠনালীতে গিয়ে পৌঁছতে পারে এবং পাকস্থলীর কিছু কিছু জিনিস leak করে আপনার হাওয়া চলাচলের পথে চলে আসতে পারে যখন আপনি শুয়ে আছেন। সেইজন্য আপনার বিছানাকে ওপর দিকে একটু উঁচু করে রেখে দিন, বালিশটাকে তুলে রাখুন এবং শোবার আগে অবশ্যই একটা Antacid খেয়ে নিন যাতে Acidity (পাকস্থলীতে) না হয়।
ঠাণ্ডা আবহাওয়া থেকে নিজেকে বাঁচান ঃ
বাইরের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে হিমেল হাওয়ার ঝাপটা চোখে মুখে এসে লাগল। আপনি তখন কী করবেন? সঙ্গে সঙ্গে ঘরের ভেতরে চলে আসুন এবং ঠাণ্ডার সময় ঘরেতেই থাকুন – চিকিৎসকরা এই মত পোষণ করেন, অবশ্যই যাঁরা Asthma-র রুগী তাঁদের ক্ষেত্রে।
বড় Scarf কিনুন ঃ
যদি ঘরের ভেতরে থাকা সম্ভব না হয়, তাহলে বাইরে বেরোবার সময় অবশ্যই scarf (গলাবন্ধ রুমাল) দিয়ে নাক, মুখ ঢেকে রাখুন। ঠাণ্ডা হাওয়া Asthma-কে বাড়িয়ে তুলতে পারে কিন্তু যদি আপনার নাক, মুখ ঢাকা থাকে তাহলে আপনি গরম বাতাসের মধ্যে নিঃশ্বাস প্রশ্বাস নিতে পারবেন। চিকিৎসকরা এটাই মনে করেন।
চিকিৎসকরা বলেন গরম শুকনো আবহাওয়া Asthma রুগীদের পক্ষে সবসময় ভালো। অনেক সময় এই ধরনের আবহাওয়া যেখানে আছে সেই ধরনের জায়গা খুঁজে পাওয়া মুস্কিল হয়। যদি কারোর তাও যাবার ইচ্ছে হয়। তবে এমন কোনো জায়গায় যাওয়া উচিৎ যা যথেষ্ট গরম, শুষ্ক আবহাওয়ার এবং বেশ অনুন্নত। ঐ সমস্ত জায়গায় গিয়ে দেখতে পারেন আপনার হাঁপানী কেমন থাকে।
ব্যায়ামের সময় হাঁপানীকে কীভাবে কম রাখা যায়?
Jogging করার সময় কী আপনার হাঁপানীর টান ওঠে? পরিশ্রমসাধ্য কোনো কিছু করার সময় আপনার শ্বাসগ্রহণ করতে কী কষ্ট হয়? এমন যদি হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনার ব্যায়াম করার দরুণ হাঁপানীর কষ্ট বাড়ছে। আজকাল প্রতি দশজনের মধ্যে ১ জন এইভাবে ভোগেন। অভিজ্ঞ চিকিৎসকের কিছু উপদেশ মেনে চলা যেতে পারে এই ব্যাপারে।
ব্যায়ামের সময় নিঃশ্বাস প্রশ্বাস গ্রহণের পদ্ধতিঃ
যখন পরিশ্রম সাধ্য কোনো ব্যায়াম করছেন, সেই সময় মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নেবেন না তার কারণ এতে আপনার গলা শুকিয়ে যাবে এবং হাঁপানীতে কষ্ট পাবেন, সেইজন্য মুখ বন্ধ রেখে এই সময় নাক দিয়ে নিঃশ্বাস প্রশ্বাস নিন।
হাঁপানীর পক্ষে সাঁতার কাটা ভাল ঃ
হাঁপানী রুগীদের জন্য চিকিৎসকরা সাঁতার কাটার উপদেশ দেন। এছাড়া বেসবল, টেনিস, গলফ্ এই খেলাগুলিও উপকারী।
ধীরে সুস্থে স্বাস্থ্যচর্চা করুনঃ
আপনি যদি হরিণের মত দৌড়ান, তাহলে আপনি তাড়াতাড়ি অবসন্ন হয়ে পড়বেন। হাঁপানীতে যারা ভোগেন তাদের ধীরে ধীরে চলাই ভাল। গা-গরম করার জন্য কিছুটা সময় নিন তারপর আস্তে আস্তে শুরু করুন।
Gym এ যাবার আগে আপনি আপনার ব্যাগে Asthma- ওষুধ ভরে ফেলুন ঃ
চিকিৎসকের মতামত হল ব্যায়াম শুরু করার ১৫ মিনিট আগে হাঁপানীর ওষুধ নিয়ে নেওয়া দরকার -এতে আপনি খুব ভাল থাকবেন। যারা ভবিষ্যতে Olympic-এ অংশ গ্রহণ করার আশা রাখেন তাদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই, কেননা হাঁপানীর ঔষধ Olympic Committee-র দ্বারা অনুমোদিত।
গাড়ীর শীততাপনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিজের উপযোগী করে নিনঃ
যাঁদের Asthma আছে তাদের পক্ষে বাতানুকুল গাড়ী ভাল কিন্তু যে ব্যবস্থায় বাইরের হাওয়া ভেতরে ঢোকে তারপর তা শীতল হয় তা যথেষ্ট অপকারী। তার কারণ বাইরের হাওয়া ফুলের রেণু বহন করে আনে এবং Asthma-র পক্ষে এটা ক্ষতিকারক। সেইজন্য গাড়ীর Airconditioning System এমনভাবে Set করুন যাতে ওপরে বর্ণিত সমস্যার সৃষ্টি না হয়।
আপনার খাদ্য সম্বন্ধে সচেতন থাকুনঃ
কিছু কিছু খাবার আছে যা হাঁপানীকে বাড়িয়ে তুলতে সুন্দরভাবে সাহায্য করে। সাধারণতঃ দুধ, ডিম, বাদাম, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি খাদ্য হাঁপানী রুগীদের হাঁপানী বাড়িয়ে দেয়। তাই চিকিৎসকরা বলেন যে সব খাদ্যে উপসর্গ বেড়ে যায় তা এড়িয়ে চলা উচিৎ।
রান্না ঘর থেকে দূরে থাকুনঃ
যে সব খাদ্য আপনার হাঁপানীকে বাড়িয়ে তোলে এমনকী তাদের গন্ধও আপনার পক্ষে ক্ষতিকারক। ডাক্তারবাবুরা দেখেছেন যে ডিম ভাজার সামান্য গন্ধ নাকে গেলেও তা হাঁপানীর উপসর্গকে ডেকে আনতে পারে। কিছু কিছু লোকের ক্ষেত্রে যে সব খাদ্য হাঁপানীর পক্ষে অনুপযোগী তা খাবারও দরকার করে না শুধুমাত্র তাদের গন্ধই হাঁপানীকে ডেকে আনার পক্ষে যথেষ্ঠ।
খাবার সময় নুন খাবেন নাঃ
ডাক্তারী গবেষণায় জানা গেছে যে খাবার সময় আলাদা করে নুন নিলে Asthma রুগীদের পক্ষে তা মৃত্যু পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে। Table salt এর সঙ্গে পুরুষ মানুষ এবং বাচ্চাদের মৃত্যুর হারের একটা ভাল যোগসূত্র লক্ষ্য করা গেছে। হাঁপানী রুগীদের জন্য নুন (table salt) কেনা বারণ নয়, কিন্তু খাওয়া অবশ্যই।
খাদ্যে additives বর্জন করুনঃ
খাদ্য চিত্তাকর্ষক এবং সংরক্ষণের জন্য যে সব জিনিস ব্যবহার করা হয় বিশেষতঃ Metabisulfite এবং Monosodiumglutamate Asthma কে বাড়িয়ে তুলতে পারে – এক নাম করা চিকিৎসকের অভিমত। বেশীর ভাগ Metabisulfite পাওয়া যায় Beer, Wine ছোট চিংড়ি মাছ, শুকনো ফল বিশেষ করে apricot। অনেক সময়ই ফল, তরি-তরকারী এবং স্যালাডের ওপর Sulfites ছড়িয়ে দেওয়া হয় টাটকা দেখাবার জন্য, তবে এই পদ্ধতির ওপর এখন নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে।
কোনো নতুন উপসর্গকে হেলাফেলা করবেন নাঃ
প্রত্যেক বছর প্রচুর লোক এই Asthma থেকে মারা যায় এবং এই মৃত্যুর কয়েকটি সাধারণ রোগ এবং তার সম্ভাব্য কারণ ও প্রতিকার হার ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ডাক্তারবাবুরা মনে করেন এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। ঘটনা এবং হাঁপানী থেকে মানুষের মৃত্যু হওয়া উচিৎ নয় কারণ এই অসুখ সারিয়ে তোলা যায়, এর প্রকোপ কমিয়ে দেওয়া যায়।
এরকম ঘটনা কেন ঘটে? তার কারণ অসুখের গুরুত্বটা অনেকেই বোঝে না, অবহেলা করেন, ওষুধ খান না এবং ডাক্তারবাবুদের কাছে যখন আসেন। তখন অনেক দেরী হয়ে গেছে।
কি করে বোঝা যাবে কখন আপনার সাহায্যের প্রয়োজন ? চিকিৎসকরা বলছেন যে আপনার হাঁপানীর জন্য আপনি সাধারণতঃ যতবার ওষুধ খেতেন তার থেকে অনেক বেশী বার ওষুধ খেতে হচ্ছে।
যেমন ধরা যাক যদি আপনার আগে ১ বার অথবা ২ বার Inhaler এর puff নিলেই ভাল হয়ে যেত (সপ্তাহে) সেক্ষেত্রে এখন আপনাকে দিনে ৩/৪ অথবা তার থেকে বেশী বার puff নিতে হচ্ছে তখন বুঝতে হবে ডাক্তারবাবুদের পরামর্শ নেওয়ার সময় হয়েছে। এছাড়াও যদি নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট অনুভব করেন তাহলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া দরকার।
ব্যথা কমাবার ওষুধ যা Aspirin জাতীয় নয় তাই ব্যবহার করুনঃ
ডাক্তারী পরিভাষায় Aspirin থেকে উদ্ভূত সমস্যা যেগুলি যাদের Asthma, Sinusitis, Nasal Polyps আছে তাঁরা যদি খান তাহলে হতে পারে, সেগুলিকে Aspirintriad বলা হয়। অনেক সময় এগুলি (যাঁদের ওপর বর্ণিত অসুবিধাগুলি আছে) মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে। কোনো এক বিখ্যাত চিকিৎসক বলেন যে এইসব অসুখ যাঁদের আছে তাঁদের কখনও Aspirin অথবা Ibuprofen নেওয়া উচিৎ নয় কারণ Aspirin Sensitivity (Aspirin সহা করতে না পারা) হঠাৎই তৈরী হতে পারে এবং সেই জন্য ঐ সব জাতীয় ওষুধ এড়িয়ে চলা দরকার, তার বদলে Acetami nophen ব্যবহার করলে কোনো সমস্যা সৃষ্টি করে না।
Inhaler ঠিক ঠিক ভাবে ব্যবহার করুনঃ
Inhaler ঠিক ঠিক ভাবে ব্যবহার করার নিয়ম |
ডাক্তারবাবুদের পরামর্শ অনুযায়ী Inhaler কিনে সঠিক পদ্ধতিতে তার ব্যবহার হলে, হাপানী রুগীদের জন্য এটা খুব তাড়াতাড়ি কষ্টের লাঘব করতে সক্ষম।
আপনার Inhaler কিন্তু শ্বাস প্রশ্বাসে সতেজতা আনার জন্য নয়। এটি কখনও গলার পিছন দিকে ছিটিয়ে দেবেন না, কারণ এই ভাবে এটি কখনও আপনার ফুসফুসের ভেতর যাবে না – যদি দেখেন মুখের ভেতর থেকে কুয়াসার মতন কিছু বেরিয়ে আসছে তাহলে বুঝতে হবে আপনি Inhalerটি ঠিকভাবে ব্যবহার করছেন না।
Inhaler-টিকে মুখের কাছে লাগিয়ে রেখে বেশ কয়েকবার দ্রুত কাজ করালেও ফল পাওয়া যাবে না।
প্রথমে মুখে হাঁ করে Inhaler-টিকে আপনার মুখ থেকে ১ ইঞ্চি মত দূরত্বে রাখুন, ধীরে ধীরে একবার গভীর ভাবে শ্বাস নিন এবং নিঃশ্বাস প্রশ্বাস নেওয়া শুরু করার মোটামুটি আধ সেকেণ্ড বাদে Inhaler টিকে depress করুন। Spraying করার পর ৩ থেকে ৫ সেকেণ্ড পর্যন্ত নিঃশ্বাস বন্ধ করে রাখুন। আপনি যখন প্রথমে জোরে বাতাস গ্রহণ করলেন (puff) তখন আপনার বাতাস চলাচলের পথ পরিষ্কার হয়ে গেল কিন্তু আপনি যদি খুব তাড়াতাড়ি দুবার puff নেন তাহলে ২য় বার puff আপনার কোনো কাজেই আসবে না। কিন্তু যদি আপনি ২ থেকে ৫ মিনিট অপেক্ষা করেন তাহলে ২য় puff-এর থেকে আপনার উপকার হবে।
Caffeine-এর ওপর নির্ভর করা যায়ঃ
মনে করুন আপনি কোনো জায়গায় গেছেন এবং যাবার সময় inhaler নিতে ভুলে গেছেন। সেই সময় যদি আপনার মনে হয়, হাঁপানীর টান আসছে তখন আপনি কী করবেন? একটা উপায় আছে – সেই সময় যদি ২ কাপ কড়া Coffee খেয়ে নিতে পারেন তাহলে খানিকটা উপকার পাবেন। কোনো নাম করা চিকিৎসকের অভিমত যিনি Asthma-র ওপর Caffeine এর প্রভাব নিয়ে কাজ করছেন। ঐ একই চিকিৎসক দেখেছেন Asthma যে সব ওষুধে ২ কাপ Coffee-তে যতটুকু Coffeine থাকে সেই পরিমাণ থাকলে হাপানীর রুগীদের কষ্ট কম থাকে এবং উন্নতি হয়। Caffeine এবং Asthma-র একটি বহু প্রচলিত, লোকপ্রিয় ওষুধ Theophylline প্রায় অভিন্ন আপনার শরীর এই ২টির মধ্যে কোনো পার্থক্য বুঝতে পারে না।
উনি অবশ্য সাবধান করে দিয়েছেন যে Caffeine কখনও নিয়মিত চিকিৎসার পরিবর্ত (substitute) হতে পারে না।
ওই চিকিৎসক বলেছেন যে তাঁরা এটাকে চিকিৎসা হিসেবে সুপারিশ করেন না। কিন্তু জরুরী অবস্থায় যখন হাতের কাছে কোনো ওষুধ নেই তখন ২ কাপ কড়া Coffee অথবা গরম কোকো (Cocoa) কিম্বা ২টি Chocolate বার ওষুধের পরিবর্তে ভাল কাজ দেবে এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ, Inhaler এই সব যোগাড় করার খানিকটা সময় পাওয়া যাবে।
হাঁপানীর সঙ্গে যুদ্ধে B-কে সঙ্গে নিনঃ
Vitamine B-এর Asthma র ওপর কার্যকারিতা সম্বন্ধে আকস্মিক ভাবেই জানতে পারা গেছে। যখন এক ধরনের রক্তল্পতার (Sickle-cell anemia) ওপর Vitamin এর ফলাফল, প্রভাব সম্বন্ধে গবেষণা চলছিল তখন দেখা গেল যে কিছু কিছু ব্যক্তি যারা Sickle-cell এর দলে পড়েন না তাঁদেরও হাঁপানীর ইতিহাস রয়েছে। এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত এক চিকিৎসক দেখলেন যে এইসব Asthma-র রুগীরা যদি ৫০ মিলিগ্রাম করে Vitamin B রোজ খান তাহলে তাঁদের হাঁপানীর প্রকোপ অনেকটাই কম থাকে এবং পরে আরও গবেষণা করে Vitamin B এর হাঁপানীকে কম রাখার কথা জানা গেছে। তবে অতিরিক্ত এই Vitamin-এর ব্যবহার শরীরে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে এবং সেই জন্য ডাক্তারবাবুরা রুগীদের তা দেন না। কিন্তু ৫০ মিলিগ্রাম পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির পক্ষে নিরাপদ মাত্রা – চিকিৎসকদের মতে। কিন্তু এই Vitamin সব সময় ডাক্তারবাবুদের পরামর্শ এবং উপদেশ নিয়ে তবেই গ্রহণ করা উচিত।
ফুসফুস সম্বন্ধে সচেতন থাকুনঃ
এটা অবশ্যই ঠিক কথা যে Asthma-তে না ভোগার সব থেকে ভাল পথ হল Asthma না হওয়া। এই অসুখ হওয়ার আগে কতকগুলি সংকেত এবং আভাষ পাওয়া যায়, সেগুলো ভালভাবে বুঝবার চেষ্টা করুন। আপনার ক্ষেত্রে এবং প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই হাঁপানীর একটা নিজস্ব ধরণ থাকে এবং সেটিকে ভালভাবে জেনে রাখা দরকার। যখন সাবধান হওয়ার ইঙ্গিত আপনি পাচ্ছেন, তখন সঙ্গে সঙ্গে যা করণীয় তা যদি করেন তাহলে এই অসুখটিকে আপনি দূরে সরিয়ে রাখতে পারবেন।
Read extra :-
শীতকালে Allergy -তে ভুগছেন ? তাহলে দেখুন Allergy উপসর্গ উপশমের পনেরোটি উপায়
হঠাৎ কারুর মারাত্মক হাঁপানী শুরু হয়ে যায় না, সেটা খুবই কম ঘটে। সব সময় Asthma-র নিজস্ব একটা ছাঁচ থাকে এবং Asthma শুরু হবার আগে এটা যদি বোঝা যায় এবং তার গতিপথেই যদি হাঁপানীকে আটকে দেওয়া যায়, অর্থাৎ প্রথমেই যদি এই অসুখ বাধাপ্রাপ্ত হয় তাহলে অবশ্যই তা খুব মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে না।