What are the types of acne and why? || ব্রণ কি কি ধরণের হয়ে থাকে এবং কেন হয়? তার প্রতিকার জানতে হলে প্রবন্ধটি পড়ুন

বাথরুমের আয়নার কাঁচে লেগে থাকা গরম জলের বাষ্প পরিষ্কার করে যখন আয়নার মুখোমুখি হলেন, নাকের ডগায় বেগুনী রঙের বেশ বড় একটা বিন্দু চোখে পড়লো; সপ্তাহ শুরু করার পক্ষে যা মোটেই ভাল নয়।

Contents hide

আয়নাটা আবার মুছে নিয়ে পায়ের পাতার ওপর ভর দিয়ে Sink-এর ওপর ঝুঁকে পড়লেন, ভাল ভাবে দেখার জন্য। হ্যাঁ, ঠিকই তো। কিন্তু এটা কী? এবার খুঁতনীটা তুলতেই এক ঝলকের জন্য আপনার চোখে পড়লো নীচের ঠোঁটের তলায় গোটা দুই সাদা সাদা মুখ গজাচ্ছে। ব্যাপারটা আপনার মোটেই ভাল লাগল না। এবার Sink-এর ওপর একটা পা তুলে দিয়ে, আয়নার খুব কাছে মুখ নিয়ে এসে দেখতে পেলেন, নাক আর গালের মাঝখানে যে জায়গাটা তাতে কালো রং-এর একটা মুখ যেন আপনার দিকেই একদৃষ্টে তাকিয়ে রয়েছে।

What are the types of acne and why
What-are-the-types-of-acne-and-why?

বিহ্বলভাবে আয়নার দিক থেকে সরে এসে আপনি বাথটাবের ধারে বসে, আপনার নতুন দাগ ভর্তি মুখ দুহাতে ঢেকে ফেললেন, মাথায় এল অল্প বয়সে। মুখে এইসব ব্রণ আর গোটা হবার দিনগুলোর কথা। অস্থির চিত্তে ভারতে বসলেন এখন এই সব কেন হচ্ছে?

ত্তরটা খুব সোজা, মুখে ব্রণ হয়েছে। এটার উৎস সাধারণতঃ বয়ঃসন্ধি ক্ষণেই হয়, তবে কারোর কারোর ক্ষেত্রে এটা মধ্য বয়সে অথবা তার পরেও হতে পারে।

[California -র New Port Beach ACNE RESEARCH INSTITUTE এর প্রতিষ্ঠাতা চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ James E. Fulton Jr. M.D.. Ph.D বলেন “কোনো কোনো মহিলা ২৫ অথবা ৩৫ বৎসর বয়সে অথব তার পরেও আকস্মিক উত্তেজনা অনুভব করতে পারেন। সত্যিকথা কী আমার মার ৬২ বৎসর বয়সেও এই অনুভূতি হয়।

জনৈক চর্মরোগ বিশেষজ্ঞর অভিমতঃ “ব্রণ আসলে চলতি কথায় বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ যেমন pimples, white heads, black heads এসবের ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই অবস্থায় চামড়ার সুক্ষ্ম, সূক্ষ্ম চিত্রগুলি বন্ধ হয়ে গেলে, যন্ত্রণাদায়ক অথবা যন্ত্রণাহীন এই ধরনের ক্ষতের সৃষ্টি করে। তবে, ছিদ্রগুলির এই ভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ কী?

জনৈক চিকিৎসক জানালেন অতিরিক্ত চকোলেট খেলে অথবা নোংরা চুল কিংবা ত্বকের জন্য ব্রণ হয় না, অতিরিক্ত বা অপরিমিত যৌনাভ্যাসের জন্যও না।

ব্রণ কি কি ধরণের হয়ে থাকে এবং কেন হয়?

নাকের ডগায় এক বিশাল ব্রণ একটি গুরুতর সমস্যা হিসাবে দেখা দিতে পারে। সমস্যা আরও গুরুতর হয় যখন দেখা যায় যাঁদের সঙ্গে কথা বলছেন তারা ঐ ব্রণটির দিকেই তাকিয়ে আছেন। ব্রণ একটা সাধারণ দাগের থেকে ঢের বেশী গুরুতর ব্যাপার। 

ব্রণকে চারটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে –

যেমন, প্রথমটির ক্ষেত্রে অসুখের আক্রমণ হয়, কিছু কিছু সাদা এবং কালো মুখ দেখা যায়, এইভাবে পরে ৪র্থ বিভাগ যাকে বলা হয় এবং যেটি সবচেয়ে মারাত্মক, সেক্ষেত্রে সাদা এবং কালো, দু-ধরনের মুখের সঙ্গে ছোট ছোট পিও এবং পুঁজ কোষও দেখা যায়। এই চতুর্থ শ্রেণীর ব্রণ সংক্রমণের সঙ্গে প্রায়ই লাল অথবা বেগুনী রঙের কালো অংশ দেখা দেয়। এইবার আপনি সংকেত পেয়ে গেছেন কোনো চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে পরামর্শ নেওয়ার।

খুব বেশী ধরনের ব্রণ-র আক্রমণ হলে এবং তার যদি ঠিক মতো চিকিৎসা না হয়, তাহলে বিশেষজ্ঞের মতে তা ত্বকের ওপর চিরস্থায়ী ক্ষত চিহ্নের সৃষ্টি করতে পারে। এই সময় ডাক্তারবাবুর পরামর্শে যদি কোনও ওষুধ নেওয়া যায় তা হলে রোগের উপশম খুব তাড়াতাড়ি হবে।

তা হলে ব্রণ কিভাবে হয়? বংশগতি, অন্ততঃ বেশীর ভাগটাই। ডাক্তারবাবুদের মতে ব্রণর কারণ হলো জীনঘটিত এবং বংশ পরম্পরায় এটি চলতে থাকে। আপনার উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া লোমকূপের ত্রুটি।

যদি আপনার পিতামাতার ব্রণ থেকে থাকে তবে আপনার ভাইবোনদের চারজনের মধ্যে তিন জনের এই অসুখ হবেই। কিন্তু যদি এমন হয়, যে আপনার বোন ব্রণ থেকে মুক্ত কিন্তু আপনার মুখ একেবারে ক্ষতবিক্ষত, তাহলেও সতর্ক থাকুন যে অন্যান্য অনেক কারণ দ্বারা এর সংক্রমণ ত্বরান্বিত হতে পারে।

“মানসিক চাপ, সূর্যকিরণের সংস্পর্শে আসা, ঋতু পরিবর্তন এবং আবহাওয়াও ব্রণর আক্রমণকে ডেকে আনতে পারে।” জনৈক বিশেষজ্ঞের অভিমত।

কিছু কিছু প্ৰসাধন সামগ্রীর এবং জন্ম নিরোধক বড়ি গ্রহণ করার ফলেও ব্রণ-র প্রাদুর্ভাব ঘটতে পারে।।

“কর্মরত মহিলারা এর কবলে বেশী পড়ে।”

 “তাদের অনেক চাপের মধ্যে থাকতে হয়, তাছাড়া বেশী প্রসাধন ব্যবহার হবার প্রবণতাও তাদের মধ্যে দেখা যায়।”

যাদের খুব বেশী প্রয়োজন, তাদের কথা মাথায় রেখে কিন্তু নির্দোষ উপদেশ নীচে রাখা হলো।

পরিণত বয়স্কা মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রসাধন দ্রব্যের ব্যবহার ব্রণ-র প্রাদুর্ভাবের একটা বড় কারণ। “তৈলাক্ত প্রসাধন দ্রব্যই সমস্যা।”বিশেষজ্ঞের মতে। “রঞ্জক পদার্থ, foundation makeup, রূজ, মুখ পরিষ্কার রাখার ক্রীম, রাত্রিতে ব্যবহার করা হয়। এমন ময়েশ্চারাইজার, এবং এই সমস্ত দ্রব্যের ভেতরে যে জল থাকে সেইগুলি কোনো সমস্যা তৈরী করে না। সমস্যার সৃষ্টি হয় তেল থেকে। বেশীর ভাগ তেনই যে সমস্ত ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায় তারা আমাদের শরীরে উপস্থিত ফ্যাটি অ্যাসিডের থেকে বেশী শক্তিশালী। আপনার যদি ব্রণ হবার প্রবনতা থাকে তাহলে তেল নেই এমন প্রসাধন ব্যবহার করুন।

দাগ ঢেকে রাখার হলিউডি পদ্ধতিঃ

আপনি মনে করছেন আপনার মুখের ওই ছোট ব্রণটি কদাকার এবং কুৎসিত? আচ্ছা ভাবুন তো ওটাই যদি ৩০ গ্যালন পাত্রের মতো বড়ো হয় তাহলে? আপনি যদি রূপালী পর্দার তারকা হন তাহলে পর্দায় কিন্তু ব্রণটিকে অত বড়ই দেখাবে।

নায়িকা বেটি ডেভিসের ওই সুন্দর আয়ত নয়নের দিকে কেউ তাকাতই না, যদি তাঁর নাকের ওপরের ব্রণটিকে যাতে দেখা না যায়, তার কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হতো। হ্যাঁ আমরা তারকাদের মুখে কখনো ব্রণ বা ঐ জাতীয় কিছু কোনো কিছু কখনো দেখি না। কিন্তু কেন? ওনাদের কি কখনো ওসব কিছু হয় না?

“আপনি নিশ্চিত থাকুন – হয়”। হলিউডের মেকআপ আর্টিস্ট Maurice Stein জানালেন। “তফাৎটা হলো এই যে তারা ব্রণ বা কোনো দাগকে জনসমক্ষে দেখাতে পারেন না”

Stein পঁচিশ বছর ধরে তারকাদের প্রসাধন করে আসছেন এবং M.A.S. H., Funny Girl-এর মতো নাম করা ছবির বিখ্যাত তারকাদের এবং Planet of Apes নামক ছবিটির পাঁচজন তারকারই প্রসাধন উনিই করেছেন। 

গেরিলা যুদ্ধই একমাত্র পদ্ধতি যার দ্বারা এই সব হঠাৎ গজিয়ে ওঠা ব্রণ বা ব্রণজাতীয় জিনিসের মোকাবিলা করা যায়। অতএব হলিউডের ট্রেঞ্চ থেকে যুদ্ধ করার কিছু গোপন তথ্য জানানো হলো। Stein জানাচ্ছেন এইসব পদ্ধতি তিনি হলিউডের অনেক নামী-দামী তারকাদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছেন।

নিজেকে আবৃত রাখা ঃ

Stein এর মতে আপনি যে কোনো ধরনের বর্ণ বিকৃতি বেগুনী, লাল অথবা ফ্যাকাসে লাল তা সে যাই হোক না কেন, এদের হাত থেকে বাঁচতে পারেন। এটা করতে হলে আপনাকে প্রসাধনের সময় এমন foundation ব্যবহার করতে হবে যার মধ্যে রঞ্জক পদার্থের পরিমাণ অনেক বেশী থাকে।

প্রসাধন সামগ্রীতে প্রতি আউন্সে যত বেশী রঞ্জক পদার্থ থাকবে ততই, সামান্য ব্যবহার করলেও আবৃত রাখার কাজটি ভালভাবে হবে। Stein আরও বললেন যে যখন তিনি কোনো অভিনেতা অথবা অভিনেত্রীর ব্রণ ঢাকতে চান তখন তিনি রঞ্জক পদার্থের পরিমাণ ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ আছে এমন প্রসাধন ব্যবহার করেন। সাধারণতঃ প্রসাধন সামগ্রীতে ১৫ থেকে ১৮ শতাংশ রঞ্জক পদার্থ থাকে।

Swatch Test করুন :

কোনো প্রসাধন সামগ্রী দেখে আপনি তাতে রঞ্জক পদার্থের পরিমাণ বুঝতে পারবেন না কিন্তু তার থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করে দেখলে জানতে পারবেন। Stein জানাচ্ছেন : ওই দ্রব্যটি থেকে এক ফোটা নিয়ে আপনার ত্বকে ঘসুন। এর রঙ যদি খুব গভীর হয় তাহলে আপনি ওই প্রসাধন দ্রব্যের নীচে আপনার ত্বককে দেখতে পারেন না এবং তখনই বোঝা যাবে যে আপনার ত্বকের ক্ষতকে, দাগকে, এই প্রসাধনটি ভাল ভাবে ঢেকে রাখতে পারবে। 

লেবেল ভাল করে পড়ন  :

যে সমস্ত প্রসাধন দ্রব্যে lanolins, isopropyl myristate, sodium laury1 sulfate, laureth-4 এবং D এবং C red dyes থাকে, সেগুলি এড়িয়ে চলাই উচিৎ। তেলের মতোই এই উপাদানগুলিও চামড়ার পক্ষে গ্রহণযোগ্য নয়।

গালে লাগানো রূজ ভাল করে ধুয়ে ফেলুন :

চিকিৎসক–এর মতে “প্রত্যেকদিন রাত্রিতে আপনার প্রসাধন ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন; দিনে দুবার ক্ষারের পরিমাণ কম এমন সাবান দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন তবে লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে ধোবার পর একটুও সাবান মুখে লেগে না থাকে এবং তার জন্য ছয় থেকে সাত বার মুখ ধুয়ে ফেলা দরকার।”

কারণ খুঁজছেন?

শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও কমপক্ষে একজন ডাক্তার অন্ততঃ মনে করেন যে যাদের ব্রণ হওয়ার প্রবণতা আছে তাদের ক্ষেত্রে সী ফুড এবং অন্যান্য খাদ্য যাতে আয়োডিন বেশী থাকে, সেইসব খাবার থেকে ব্রণ-র আক্রমণ হতে পারে। চিকিৎসকরা বলেন যাদের ব্রণ হওয়ার প্রবণতা আছে তাদের ক্ষেত্রে আয়োডিন একটা কারণ, এই রাসায়নিকটি দেহে প্রবেশ করে রক্ত প্রবাহের সঙ্গে মিশে যায় এবং এর অতিরিক্ত অংশ Oil gland-এর মধ্য দিয়ে বেরিয়ে যাবার সময় লোমকূপগুলিকে উত্তেজিত করে এবং আকস্মিক ভাবেই ব্রণ দেখা
যায়। ডাক্তারবাবুরা মনে করেন এণ র আক্রমণ প্রতিহত করতে অতিরিক্ত আয়োডাইড যুক্ত খাবার গ্রহণ না করাই ভাল।

অভিনব তৈল সনাক্তকরণ পদ্ধতি ঃ

আপনার প্রসাধন সামগ্রী কতটা তৈলাক্ত তা জানার জন্য আপনি ঘরেই একটা সহজ পরীক্ষা করতে পারেন। 25 percent কটন বণ্ড কাগজের একটা টুকরো নিয়ে তার ওপর আপনার প্রসাধন সামগ্রী বেশ খানিকটা লাগিয়ে নিন। কিছুদিনের মধ্যেই ওই সামগ্রীর ভেতরের তেল চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে একটি Ring-এর আকার ধারণ করবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এই Ring টি যত বড় হবে আপনার প্রসাধন সামগ্রীর মধ্যে তত বেশী তেল আছে বুঝতে হবে এবং এই ধরনের জিনিস থেকে দূরে থাকাই ভাল।

স্বাভাবিক সৌন্দর্য বজায় রাখুন :

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রসাধন সামগ্রী যত কম ব্যবহার করা যাবে, ততই স্বাভাবিক সৌন্দর্য্য বজায় থাকবে।

গর্ভনিরোধক বড়ি :

গবেষণা করে জানা গেছে যে কিছু কিছু গর্ভনিরোধক বড়ি ব্রণ-র সংক্রমণ বাড়িয়ে দিতে পারে। এর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন – তিনি আপনার পক্ষে কোন গর্ভনিরোধক বড়িটি সঠিক তা বলে দেবেন অথবা অন্য কোন পদ্ধতি অবলম্বনের কথা জানাবেন।

যে অবস্থায় আছে সেই অবস্থায় থাকতে দিন :

ডাক্তারবাবুরা বলেন যে ফোড়া (white heads) পেকে গেছে এবং ব্রণ নিয়ে বেশী নাড়াচাড়া করা অথবা নিষ্পেষণ করা উচিৎ নয়। ব্রণ এক ধরনের প্রদাহ এবং নিষ্পেষিত হলে প্রদাহ বাড়তে পারে এবং এর ফলে সংক্রমণও হতে পারে। ব্রণ এমনিতেই ১ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে মিলিয়ে যায় ভাই জোর করে কিছু করার চেষ্টা করা বৃথা। ফুসকুড়ি বা ফোড়া হল প্রगान মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়া লোমকূপ। এর ভেতরের বস্তু কালো হয়ে যাওয়া (black heads) ফোড়ার ভেতর যা থাকে তার চেয়ে কম। লোমকূপের ফোড়া নিষ্পেষিত হলে এটি বিদীর্ণ হয়ে যায় এবং ভেতরের জমা জিনিস বেরিয়ে এসে চামড়ায় লেগে যায় যা ব্রণ হওয়ার কারণ। ব্রণ সাধারণভাবে লোমকূপের ফোড়ার ফেটে যাওয়ার ফলে হয়।

নিষ্পেষণ কখন দরকার :

বেশীর ভাগ ব্রণকেই নাড়াচাড়া না করা ভাল, তবে এক ধরনের ব্রণকে নিষ্পেষণ করলে তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কখনও কখনও কোনো কোনো ব্রণ-র মুখের মাঝখানে পুঁজ জমে থাকে। হাল্কা ভাবে নিষ্পেষিত করলে এটি ফেটে যায় এবং ভেতরের জমা পদার্থ বেরিয়ে গিয়ে ব্রণ তাড়াতাড়ি সেরে যায়।

আক্রমণ করুন black heads-দের (লোমকূপের ফোড়া)

লোমকূপের ফোড়াকে হাত দিয়ে চাপ দিলে অনেক সময়ই উপকার পাওয়া যায়। ডাক্তারবাবুদের মতে এই ধরনের ফোড়ার ক্ষেত্রে লোমকূপের মুখ প্রায় একেবারেই বন্ধ থাকে। এই সব ব্রণদের ভেতরের সব অংশ কঠিন। এবং ওপরের অংশ চারিদিকে ছড়ানো। Black heads এর কালো অংশটি কিন্তু ধূলো বা ময়লা নয়, সত্যি কথা বলতে কী, চর্ম বিশেষজ্ঞরা নিজেরাই এখনো নিশ্চিত নন যে এই কালো অংশটি ঠিক কী। তবে, আর যাই হোক এর থেকে কখনো ব্রণ হয় না।

বিনা Prescription-এর ওষুধ :

ডাক্তারবাবুদের Prescription ছাড়াই যা পাওয়া যায় (OTC Products) সেগুলো দিয়েও ব্রণর আক্রমণ প্রতিহত করা যায়। তাঁরা বলেন যেসব ওষুধের মধ্যে Benzoyl Peroxide আছে সেই সমস্ত ওষুধ ব্যবহার করা যায়। এইগুলির মধ্যে Benzoyi অংশটি Peroxide-কে লোমকূপের মধ্যে টেনে আনে এবং oxygen ছেড়ে দেয় যা যে জীবাণুগুলি রণর সংক্রমণ বাড়িয়ে দিচ্ছে, তাদের মেরে ফেলে। এটা অনেকটা একটা ওষুধের মধ্যে ২টোর গুণ পাওয়ার মতো। এছাড়া Benzoyl fattyacid cell-এর কার্যকারিতাকেও রোধ করে যার ফলে লোমকূপের ওপর এদের প্রভাব কমে যায়। চিকিৎসকদের prescription ছাড়াই যা যা পাওয়া যায় যেমন gels, liquids, lotions অথবা cream। এদের মধ্যে gels যার মধ্যে জলের ভাগ বেশী সেইগুলি ব্যবহার করাই ভাল কারণ এদের লোমকূপের ওপর ক্ষতিকারক প্রভাব সব থেকে কম। ডাক্তারবাবুদের মতে এই সমস্ত জিনিস সন্ধ্যাবেলায় ব্যবহার করে (১ ঘন্টা সময় নিয়ে) তারপর রাত্রিবেলায় শোবার সময় খুব ভালভাবে ধুয়ে ফেলা দরকার বিশেষতঃ চোখ এবং গলার কাছাকাছি অংশগুলি।

ব্রণর ওষুধ :

ব্রণ-র ওষুধে Benzovl Peroxide এর পরিমাণ ২.৫ শতাংশ থেকে শুরু করে ১০ শতাংশ পর্যন্ত থাকে। কিন্তু এই অনুপাতের সঙ্গে ওষুধের কার্যক্ষমতার কোন সম্পর্ক নেই। চিকিৎসকের মতামত অনুযায়ী কম ক্ষমতা সম্পন্ন ওষুধ যথা ৫ শতাংশ, ১০ শতাংশের মতোই কাজ করে।

শুষ্ক ত্বকের একটু বেশী যত্ন নিনঃ

শুষ্ক ত্বক Benzoyl Peroxide-এ সংবেদনশীল হতে পারে তাই প্রথমে কম ক্ষমতাসম্পন্ন দ্রব্য ব্যবহার করে আস্তে আস্তে উচ্চক্ষমতার দ্রব্যে যাওয়া উচিৎ। তাছাড়া এই ধরনের ওষুধ ব্যবহারের ফলে ত্বক লাল হয়ে যেতে পারে তবে ডাক্তারবাবুদের মতে এটি একটি স্বাভাবিক ঘটনা।

রৌদ্র থেকে দূরে থাকুন 

রৌদ্রে ব্রণ নিরোধক ঔষধের বিপরীত প্রতিক্রিয়া হতে পারে। যতক্ষণ না আপনি জানতে পারছেন যে আপনার ক্ষেত্রে কী রকম প্রতিক্রিয়া ঘটবে, ততক্ষণ আপনি যতটা সম্ভব পারেন রৌদ্রের আলো, লাল-উজানি আলো (Infrared heat lamp)-র বাতি, Sun Screen এই সব থেকে দূরে থাকুন এবং চিকিৎসকদের মতে আপনার ত্বক Sun Screen এর ক্ষেত্রে কতটা সংবেদনশীল তাও দেখে নিন।

ত্বককে পরিষ্কার রাখুনঃ

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ব্রণ-র জন্য যেসব ওষুধ পাওয়া যায় তা ব্যবহারের আগে প্রত্যেকবার ত্বক খুব ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন। পরিচ্ছন্ন মুখ সবসময় সুন্দর।

চিকিৎসা এক রকমেরই চলুক :

বিভিন্ন চিকিৎসা একই সঙ্গে করাবেন না। যদি ডাক্তারবাবু আপনাকে কোন ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দেন, তাহলে অন্য কোনো ওষুধ (prescription ছাড়া) ব্যবহার করবেন না। Benzoyl Peroxide, Retin A এবং ভিটামিন A এর যে সমস্ত derivatives যেমন Accutane এদের সমগোত্রীয়, সেইজন্য কারুরই একই সঙ্গে ওইগুলি ব্যবহার করা উচিৎ নয়।

ব্রণ-র ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করুন  :

চিকিৎসকদের মতানুযায়ী ব্রণর ওষুধ সংক্রামিত জায়গাটির চারিপাশে আধ ইঞ্চি জায়গা জুড়ে লাগানো উচিৎ। ব্রণ একবার হলে তাতে ওষুধ লাগালে কোনো লাভ হয় না। ওষুধ আসলে ব্রণ হওয়া প্রতিরোধ করে। ব্রণ মুখের ওপর দিয়ে নাক থেকে কান অবধি ছড়িয়ে যেতে পারে। সেইজন্য ওষুধ, লাল ফোলা জায়গা মানে যেখানে আজই সংক্রমণ হয়েছে, সেই জায়গা ছাড়াও তার বাইরের জায়গাগুলিতে লাগানো দরকার। ওষুধগুলি সংক্রামিত জায়গায় লাগানো জরুরী। বেশীর ভাগ মানুষই কিন্তু সংক্রামিত জায়গা বলতে ঠিক যেখানে ব্রণ হয়েছে সেখানটিই বোঝেন যা আদৌ ঠিক নয়।

Disclaimer: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Leave a Comment