Eat to stay healthy: বয়স ৪০ পেরিয়েছে? মেনে চলুন খাওয়াদাওয়ার এই ৬ নিয়ম

আজকাল বয়স ৪০ পেরোতে না পেরোতেই শরীরে জাঁকিয়ে বসে একাধিক সমস্যা। শরীর ভিতর থেকে কমজোরি হয়ে পড়তে শুরু করে। অল্পেতেই যেন খুব ক্লান্তবোধ হয়। ঘাটতি পড়ে এনার্জিতেও। কোলেস্টেরল, প্রেশার, সুগারের মতো নানা ক্রনিক সমস্যা ধীরে ধীরে বাসা বাঁধতে থাকে। এ সবের মূল কারণ কিন্তু আমাদের রোজকারের খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রা। তাই চল্লিশের আগে থেকেই নিজের প্রতি বাড়তি যত্ন নেওয়া জরুরি। নাহলে বয়সকালে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে শুরু করবে।
Eat to stay healthy: বয়স ৪০ পেরিয়েছে? মেনে চলুন খাওয়াদাওয়ার এই ৬ নিয়ম
বয়স যা-ই হোক, সুস্থ থাকতে খাওয়াদাওয়ার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রোজ কী খাচ্ছেন, তার উপর অনেকাংশ নির্ভর করে স্বাস্থ্যের হাল। গবেষণা বলছে, স্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস মধ্যবয়সী ব্যক্তিদের জীবনকাল প্রায় এক দশক বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ৪০-এর পর খাওয়াদাওয়ায় পরিবর্তন আনা খুব জরুরি। জেনে নিন, ৪০-এর পরেও ফিট অ্যান্ড ফাইন থাকতে রোজের ডায়েটে কী বদল আনবেন। অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট, চিনি এবং সোডিয়াম ৪০ বছর বয়সের পরে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া একেবারেই বন্ধ করতে হবে। বিশেষ করে যে সব খাবারে চিনি, নুন ও ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে, সে সব খাবার একেবারেই খেলে চলবে না। বাইরের খাবারও এড়িয়ে চলতে হবে। এগুলি বেশি খেলে হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থাকে।
ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ ফাইবার, মিনারেল, ভিটামিন আছে এমন খাবার বেশি করে খেতে হবে। এই পুষ্টিগুলি শরীর সুস্থ ও ফিট রাখে। দীর্ঘস্থায়ী রোগ-ব্যাধি প্রতিরোধ করে। এগুলির অভাবে নানা অসুখ বাসা বাঁধতে পারে শরীরে।

অস্ত্রের স্বাস্থ্য

একটা বয়সের পর থেকে পেটের নানা গোলমাল লেগেই থাকে। গ্যাস, অ্যাসিডিটি, অম্বলের সমস্যা হামেশাই হয়। এই সব সমস্যা থেকে আরও অনেক রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই অস্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং সময়মতো খাওয়াদাওয়া করা প্রয়োজন।

ফল ও শাকসবজি

সুস্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত টাটকা ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিতকরা। এই খাবারগুলিতে ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। এগুলি সামগ্রিক শরীর সুস্থ রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।

ফ্যাটি ফিশ

স্যালমন, ম্যাকেরেল এবং সার্ডিন জাতীয় মাছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে প্রচুর পরিমাণে, যা হার্টের জন্য খুবই উপকারী। তাই সুস্থ থাকতে রোজের ডায়েটে অবশ্যই রাখুন এই সব ফ্যাটি ফিশ।
আরও পড়ুন :-

বাদাম এবং বীজ

নানা ধরনের বাদাম এবং বীজেও ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। এগুলি হার্টের জন্য উপকারী এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। এই আর্টিকেলে উল্লিখিত সমস্ত তথ্য পরামর্শস্বরূপ। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিতকের পরামর্শ নিন।

এই খাবার খাওয়ার পর জল পান করলেই বিপদ

খাবার খেতে খেতে জল খাওয়ার অভ্যাস ভালো নয়। শুধু খাবার খাওয়ার সময় নয়, খাওয়ার একদম পরেই জল পান করা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। তবে অনেক সময়ে পরিস্থিতি এমন থাকে যে, খাওয়ার পরে জল না খেলে স্বস্তি পাওয়া যায় না। তেমন ক্ষেত্রে জল পান করতেই হয়।তবে কিন্তু কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলি খাওয়ার পর জল পান করা একেবারেই উচিত নয়। সে তালিকায় সবার ওপরে থাকবে ফলমূল। ফল খাওয়ার পর জল না খাওয়াই ভালো। এতে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। লেবু, শসা, তরমুজের মতো ফল নিয়ম করে খেলে সুফল পাওয়া যায়। মুখরোচক খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে জল না খাওয়াই ভাল। তাতে এই ধরনের খাবার হজম করা কঠিন। মশলাদার খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জল যদি শরীরে যায়, তবে খাবার হজম হতে সময় বেশি নেবে। তাই ভাজা কোনও খাবার খাওয়ার অন্তত আধ ঘণ্টা পর জল পান করা ভাল। আইসক্রিম খাওয়ার পরজল খেতে বারণ করেন চিকিৎসকরা। এর কারণ, অতিরিক্ত ঠান্ডা আইসক্রিম আর সাধারণ তাপমাত্রার জল একসঙ্গে প্রবেশ করলে তা গলার ক্ষতি করতে পারে। এতে ঠান্ডা-গরম লেগে গলা ব্যথা শুরু হতে পারে।

Leave a Comment