আগেকার দিনে সাধারণত যাঁরা দোকানদার ব্যবসার সুবাদেই তাদের দিনের বেশিরভাগ সময় দোকানে বসে (sitting) থাকতে হতো। যারা সরকারি কর্মচারী তাদেরও অফিস চলাচালীন সময়ে চেয়ারে বসেই কাজকর্ম করতে হয়। এই দোকানদার ও সরকারি কর্মচারী, উভয়েই এক কিংবা দু’টি পায়ের সমস্যায় ভুগে থাকেন। কিন্তু এই সমস্যার ব্যাপকতা এখন আগের চেয়ে অনেকবৃদ্ধি পেয়েছে। আজকাল আমাদের নবীন প্রজন্ম নিত্যনতুন পায়ের সমস্যায় ভুগতে শুরু করেছেন। বিশেষ করে প্রাইভেট ও কর্পোরেট সংস্থায় যারা কাজ করেন, দীর্ঘ সময় এক জায়গায় বসে তাদের কাজ করতে হয় বলে তারা পা ও পায়ের পাতার বিভিন্ন সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন।

বিস্ময়করভাবে দেখা যাচ্ছে, আজকাল আমাদের একটা অংশের মানুষ এখন জীবনশৈলীতে অভ্যন্ত হয়ে উঠছেন যাতে খুব দ্রুত তারা পা ও পায়ের পাতার বিবিধ সমস্যায় ভুগতে শুরু করবেন। একটা অংশের মানুষ দীর্ঘ সময় তাদের ঘরে টেলিভিশনের সামনে বসে বিভিন্ন চ্যানেলের অনুষ্ঠান উপভোগ করে থাকেন। বিশেষ করে যারা গৃহবধু, ঘরকন্নার কাজের বাইরে যাদের খুব একটা বড় ধরনের কাজ করতে হয় না, তারা দিনের অন্তত চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা টেলিভিশনের সামনে বসে বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপভোগ করে থাকেন। এটা তারা নিয়মিতভাবেই করেন। অধিকাংশ গৃহবধূ এমনকি যে সমস্ত মহিলারা অফিস বা বিভিন্ন সংস্থায় কাজ করেন, দিনের শেষে অন্ততপক্ষে তিন থেকে চার ঘণ্টা প্রতিদিন তারা এক নাগাড়ে টিভির সামনে বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখেন। আজকাল আমাদের দেশের শিশু ও যুবরা প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা কম্পিউটার বা মোবাইলে ভিডিও গেইম বা অন্যান্য মনোরঞ্জনমূলক অনুষ্ঠান উপভোগ করে থাকে। অথচ এসব চালু হবার আগে শিশু-কিশোর ও যুবরা দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে খেলার মাঠে গিয়ে নিয়মিত খেলাধুলা বা শরীরচর্চা করতো, এটা আজকাল একরকম বন্ধই হয়ে গেছে। টিভিও কম্পিউটারের সামনে দীর্ঘ সময় বসে থাকার ফলে আমাদের দেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ ক্রমশ পা ও পায়ের পাতার বিভিন্ন রোগে ভুগতেশুরু করেছেন। এমনকি কলসেন্টার বা বিপিওগুলোতেও যারা দীর্ঘ সময় একনাগাড়ে বসে কাজ করেন তারাও এ ধরনের রোগে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন।
আপনার জীবনশৈলী পায়ের উপর কি প্রভাব ফেলছে?
অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছলতার জন্য যদি আপনি কোনও কায়িক পরিশ্রম ছাড়া একরকম বসে বসেই জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন, কিংবা আপনি এমন কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত যেখানে দিনের বেশিরভাগ সময় আপনাকে এক জায়গায় বসে কাজ করতে হয়, তাহলে বিশ্বাস করুন, খুব দ্রুততার সঙ্গেই আপনি পা অথবা পায়ের পাতার রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। দীর্ঘক্ষণ একনাগাড়ে এক জায়গায় বসে থাকার ফলে পা ও পায়ের পাতার মধ্যে দেহরসের চলাচলের ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি হয়। কারণ একভাবে বসে থাকার জন্য পায়ের পেশীর পাম্প ব্যবস্থা ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। এতে পায়ের পাতা দু’রকমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রথমত, বিশুদ্ধ অক্সিজেনবাহী রক্ত দীর্ঘক্ষণ পায়ের রক্তবাহী নালীগুলোতে আটকে পড়ে যায়। এতে পায়ের পাতায় হালকা ব্যথা, শৈথিল্যভাব, চুলকানি এবং ক্রমান্বয়ে ব্যথার ব্যাপকতা বৃদ্ধি প্রভৃতি ঘটতে দেখা যায়। দ্বিতীয়ত, দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার ফলে পায়ের রক্তবাহী নালীগুলোতে রক্ত জমাট বেঁধে যাবার সম্ভাবনা দেখা দেয়। এ কারণেই দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার ফলে পা ও পায়ের পাতার বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। উদাহরণ স্বরূপ:
হঠাৎ করে পা ও পায়ের পাতার ব্যথা ও ফুলে যাওয়া
কম্পিউটারের সামনে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার ফলে এবং কোনও ধরনের শারীরিক কসরত কিংবা এক্সারসাইজ না করার কারণে পায়ের পাতা এমনকি কখনও কখনও জীবন সংশয় দেখা দিতে পারে। দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকলে পায়ের পেশির সঞ্চালন বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। পায়ের ভিতরে যে রক্তবাহী নালিকাগুলি রয়েছে পেশি সঞ্চালনের অভাবে রক্ত সেখানে জমাট বাঁধার মতো অবস্থা তৈরি হয়। চিকিৎসা পরিষেবায় এই অবস্থাকে বলা হয় ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস বাডি ভিটি। যদি এমন কারো এই অবস্থা তৈরি হয় তাহলে খুব দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা দরকার। নয়তো জীবন সংশয় হবার মতো পরিস্থিতি তৈরি হবার সম্ভাবনা দেখা দেয়।

খুব দ্রুত চিকিৎসা করানোর ক্ষেত্রে কোনও ধরনের দুর্বলতা ঘটলে জীবন বিপন্ন হবার মতো যে কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তাতে ডাক্তারি পরিভাষায় বলে ‘পালমোনারি এমবোলিজম’। এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে খায়ের রক্তনালীতে জমাট বাঁধা রক্ত ধীরে ধীরে উপরের দিকে উঠে হৃদ্যন্ত্রের চ্যাম্বারের শেষ পর্যন্ত ফুসফুসে এবে উপস্থিত হয়। এরপর যে পরিস্থিতি তৈরি হয় সেটা আরও ভয়ংকর। জমাট বাঁধা রক্ত ফুসফুসের প্রধান ব্লাড পাইপে এসে জমা হয় এবং এর ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাসরোধ হবার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। যদি এরকম ক্ষেত্রে সময়মতো চিকিৎসা শুরু করা না যায়, তাহলে আক্রান্ত ব্যক্তি যে কোনও সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পারেন। যদি কর্মক্ষেত্রে আপনাকে একটানা দীর্ঘ সময় বসে কাজ করতে গিয়ে পা ফুলে যাওয়া ও ব্যথা অনুভূত হয়, তাহলে দেরি না করে কোনও ভাসকুলার সার্জনের সঙ্গে অবশ্যই আপনাকে পরামর্শ করতে হবে।
পা ফোলা স্থায়ী সমস্যা হয়ে উঠতে পারে
প্রতিদিন দীর্ঘ সময় এক জায়গায় বসে থাকার ফলে পায়ের রক্ত সঞ্চালনবাহী ধমনীগুলোতে রক্ত চলাচলে বিরাট প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে অক্সিজেনবিহীন রক্ত পায়ের ধমনী থেকে হার্টের দিকে প্রবাহিত হতে পারে না। পা ও পায়ের পাতার এই দুষিত রক্ত জমা হতে থাকে। এর ফলে মানবদেহে দু’ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। প্রথমত, দূষিত রক্ত পা ও পায়ের পাতায় জমে থাকার কারণে পা ও পায়ের পাতা দু’জায়গাতেই ফোলাভাব সৃষ্টি হয় এবং ব্যথা হতে শুরু করে। দ্বিতীয় সমস্যাটি বেশ ভয়ংকর। পা ও পায়ের পাতায় রক্ত জমে থাকায় সেখানে অক্সিজেনবাহী বিশুদ্ধ রক্ত পাঠাতে ও অক্সিজেনবিহীন দূষিত রক্ত পুনরায় হৃদ্যন্ত্রে ফিরিয়ে আনতে হৃদ্যন্ত্রকে আর ও জোরদারভাবে পাম্পিং ব্যবস্থা চালাতে হয়। এতে হৃদ্যন্ত্রের উপর যে অতিরিক্ত চাপ পড়ে তাতে উচ্চ রক্তচাপজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। প্রতিদিন এভাবে দীর্ঘ সময় বসে থাকার কারণে পায়ের ব্যথা যেমন শুরু হয়, তেমনি পায়ের পাতার কাছে গোড়ালিতে চামড়ার উপর কালো কালো দাগ দেখা দেয়। দীর্ঘ সময় এক জায়গায় বসে যারা কাজ করেন তারা প্রায়ই বলেন, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর তাদের পা ও পায়ের পাতায় কোনও ফোলা ভাব থাকে না। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশেষ এক জায়গায় বসে কাজ করার সময় থেকেই তাদের পা ও পায়ের পাতা ফুলতে থাকে এবং ব্যথাও অনুভূত হয়। মূলত যাদের শারীরিক ওজন খুব বেশি অথবা যারা দোকানদার কিংবা অফিসে বা কাজের জায়গায় কম্পিউটারের সামনে একটানা বসে কাজ করেন প্রধানত তারাই এই সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হন। চিকিৎসা পরিভাষায় এই অবস্থাকে বলা হয় ‘ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিশিয়েন্সি’ বা ‘সি ভি আই’। তাই যখনই পায়ের গোড়ালিতে চামড়ার উপর কালো দাগ পড়তে শুরু করে তখন দেরি না করে কোনও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞকে না দেখিয়ে অবশ্যই একজন ভাসকুলার সার্জনকে দেখাবেন এবং তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত চিকিৎসা শুরুকরা উচিৎ। গোড়ালিতে কালো কালো দাগ দেখা দেওয়ার বিষয়টি চর্মরোগের কারণ নয়।
পায়ের ধমনীর নীলবর্ণ ধারণ
যদি কোনও ব্যক্তি প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটাচলা না করেন, কিংবা সকালে নিয়মিত মর্নিং ওয়াক করার অভ্যাস না থেকে থাকে, পাশাপাশি যদি তিনি দীর্ঘ সময় ধরে এক জায়গায় বসে থাকেন, তাহলে সেই ব্যক্তির রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থায় বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে অক্সিজেনবাহী রক্ত শরীরের নিম্নাঞ্চলে প্রবাহিত হবার পর নিয়ম অনুযায়ী অবিশুদ্ধ রক্ত পা থেকে উপরের দিকে প্রবাহিত হতে গিয়ে যথেষ্ট বাধাপ্রাপ্ত হতে থাকে। এ সময় অবিশুদ্ধ রক্ত উপরের দিকে অর্থাৎ হৃদ্যন্ত্রের দিকে প্রবাহিত হবার সময় পায়ের চামড়ার নিচে রক্তনালিগুলি ঈষৎ নীলবর্ণ ধারণ করে। যদি এ ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তি খুব দ্রুত তার প্রাত্যহিক জীবন-যাপনের রুটিন পরিবর্তন না করেন এবং অবশ্যই একজন ভাসকুলার সার্জনের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু না করেন, তাহলে অচিরেই তার পায়ের ভেরিকোস নালিকাগুলি জমাট বাঁধা অবিশুদ্ধ রক্তের কারণে অতিমাত্রায় স্ফীতি হতে শুরু করবে এবং একটা সময় ভেরিকোস নালিকাগুলো স্ফীত হতে হতে পেটে গিয়ে ব্লিডিং শুরু হয়ে যাবে। এই অবস্থা একজন রোগীর পক্ষে খুবই মারাত্মক বলে মনে করা হয়।
যদি আপনি আপনার জীবন-যাপনের প্রাত্যহিক রুটিন পরিবর্তন না করেন
এরকম ক্ষেত্রে আপনি দুটি বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। প্রথমত, পায়ের রক্তনালিকাগুলি নীলবর্ণ ধারণ করে ক্রমশ স্ফীত হতে থাকবে এবং একটা সময় তা কেটে যাবার সম্ভাবনা দেখা দেবে। ভেরিকোস নালিকাগুলি কেটে গেলে পায়ের ভিতর যন্ত্রণাদায়ক রক্তক্ষরণ শুরু হবে এবং পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠলে হাসপাতালে পর্যন্ত ভর্তি হতে পারে। দ্বিতীয়ত, ভেরিকোস নালিকার স্ফীত ও নীল রঙের হয়ে যাওয়ার সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তির পায়ে অবিশ্রান্ত চুলকানি শুরু হয়। পায়ে চুলকানির ফলে ক্ষতের সৃষ্টি হয় এবং সেই ক্ষত থেকে হলুদ রঙের ফ্লুইড নিঃসরণ হতে থাকে। এই নিঃসরণের মাত্রা বেড়ে গেলে তা ক্ষতস্থানের আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে এবং পরবর্তী সময়ে এই ক্ষতস্থান একজিমার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। এর ফলে অনিরাময়যোগ্য আলসারের উদ্ভব ঘটে। এ ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তি সম্পূর্ণ অজ্ঞতা থেকে বিষয়টিকে ত্বক সম্পর্কিত কোনও সমস্যা মনে করে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। তাই এসব ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তিকে পায়ের অস্বাভাবিক ফোলাভাব নিয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে এবং অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ভাসকুলার সার্জনের সঙ্গে চিকিৎসার বিষয়ে পরামর্শ নিতে হবে।

প্রতিষেধকমূলক ব্যবস্থা
- যদি বাড়িতে বা অফিসে প্রতিদিন আপনাকে একনাগাড়ে দীর্ঘসময় বসে কাজ করতে হয়, তাহলে প্রতি এক ঘণ্টা পর পর কাজ থেকে কিছুটা সময় বিরতি নিয়ে অন্ততপক্ষে পাঁচ থেকে দশ মিনিট বাড়তে বা অফিসেই আপনাকে হাঁটতে হবে। এবার আপনি আবার রুটিন অনুযায়ী আপনার কাজ শুরু করতে পারেন। কিন্তু কাজের ফাঁকে প্রতি এক ঘণ্টা পর পর বিরতি নেওয়া আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই আবশ্যক। যারা বাড়িতে দীর্ঘসময় এক জায়গায় বসে টিভি দেখেন কিংবা অফিস বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যারা একনাগাড়ে বসে কম্পিউটারে কাজ করেন, তাদেরও প্রতি এক ঘণ্টা পর কাজ থেকে বিরতি নিয়ে পাঁচ থেকে দশ মিনিট হাঁটা দরকার এবং এই পদ্ধতি অত্যন্ত কঠোরভাবে প্রত্যেকের মানা উচিৎ।
- দোকানদার কিংবা দীর্ঘসময় এক জায়গায় বসে যারা প্রতিদিন কাজ করতে বাধ্য হন তাদের অবশ্যই সকালবেলায় ঘুম। থেকে উঠে নিয়মিতভাবে মর্নিং ওয়াক করা উচিৎ। এছাড়া রাতের খাবারের পরও তাদের নিয়ম করে হাঁটতে হবে প্রতিদিন। যদি তারা প্রতিদিন নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস রপ্ত করতে না পারেন, তাহলে তারা এক কিংবা দুটি পায়েই উপরোক্ত আলোচনা মোতাবেক সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। তাই একটানা বসে যারা কাজ করেন তাদের। প্রতিদিন অন্ততপক্ষে পাঁচ থেকে ছয় কিলোমিটার হাঁটতে হবে।
- যারা অফিসে কিংবা কাজের জায়গায় দীর্ঘক্ষণ একটানা বসে কাজ করেন তাদের অতি অবশ্যই শারীরিক ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। শরীরের ওজন যাতে অত্যাধিক বেড়ে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এজন্য প্রতিদিনের খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে এবং অতিমাত্রায় চর্বিজাতীয় ও তৈলাক্ত খাবার খাদ্য তালিকা থেকে বর্জন করতে হবে।
- যখন অফিসে কিংবা কাজের জায়গায় বসে কাজ করবেন, তখন প্রতি এক ঘণ্টা পরপর পায়ের গোড়ালির ব্যায়াম করতে হবে। এক্ষেত্রে পায়ের পাতা উঁচিয়ে নামিয়ে ব্যায়ামটা করতে হবে। এতে পাও পায়ের পাতায় রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকবে।
- যখন একটানা বসে থাকবেন কিংবা বসে কাজ করবেন, তখন পা একটু উঁচুতে তুলে রাখবেন। এক্ষেত্রে কাজের জায়গায় যেখানে বসে কাজ করেন সেখানে পায়ের নিচে একটি ছোট টুল বা চৌকি রাখবেন বসার সময় যার উপর পা রাখবেন।
আরও পড়ুনঃ- Menstrual pain: মাসিকের ব্যথা কমানোর সহজ উপায়
কোন কোন ফল ও শাকসবজি Vitamin-D এর সেরা উৎস?
লেখক পরিচিতি:-
ডা. কে কে পান্ডে, এম বি বি এস, এস এস (সার্জারি), পি এইচ ডি (কার্ডিওথোরাসিক অ্যান্ড ভাসকুলার সার্জারি) সিনিয়র কনসালট্যান্ট, ডিপার্টমেন্ট অব কার্ডিওথোরাসিক অ্যান্ড ভাসকুলার সার্জারি) ডিপার্টমেন্ট অব অঙ্কোসার্জারি এপেলো হসপিট্যাল, নয়াদিল্লি।